এবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ‘নূর হোসেন দিবসে’ আওয়ামী লীগের সমাবেশ করার ঘোষণা ও সেটিতে বাধা দেওয়া, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন, বিতর্কিত সাংবাদিকদের আটক ও প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেছেন এক ভারতীয় নারী সাংবাদিক।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলতে আসেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। সেসময় ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সংঘবদ্ধ হামলার খবর শোনা যাচ্ছে। নারীদের ওপর হামলা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, সাংবাদিকদের জেল ও প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচকরা বলছেন, ছাত্রদের ৫ আগস্টের বিপ্লব দেশকে আবারও সেখানে নিয়ে যাচ্ছে, যেখান থেকে এটির শুরু হয়েছিল। আমরা দেখেছি ভেদান্ত প্যাটেল এসবের নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আপনার কি কোনো কথা হয়েছে?
এর জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আলাদাভাবে কী কথা হয়েছে সেটি এখানে আমি বলব না। তবে আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে স্পষ্ট করেছি, যেমনটা আমরা বিশ্বের সব দেশের কাছে করি যে, আমরা শান্তপ্রিয় আন্দোলনকে সমর্থন করি ও আমরা চাই না সরকার কোনোভাবে শান্তপ্রিয় আন্দোলনে সহিংস দমনপীড়ন চালাক।
এরপর বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন ওই ভারতীয় সাংবাদিক। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলার মধ্যেই সম্প্রতি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আপনার কী বলা আছে? জবাবে মিলার জানান, তিনি প্রশ্নটি আমলে নিচ্ছেন ও এ বিষয়ে তাদের কিছু বলার আছে কি না, তা পরে জানাবেন।